রুশ বাহিনী লুটপাট করছে-খেরসনে বাড়িঘর দখল করছে : ইউক্রেন

প্রকাশঃ নভেম্বর ৮, ২০২২ সময়ঃ ৪:২২ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:২২ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিকে ডেস্ক

দক্ষিণ খেরাসনে ইউক্রেনীয় হামলার প্রত্যাশায় করছে রাশিয়া। শহরটি পুনরুদ্ধারের জন্য রাশিয়া বেসামরিক লোকদের দক্ষিণ  খেরসনের শহর থেকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন-এ খালি বাড়ি লুট করার এবং কিয়েভের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিক বাড়ীঘর দখলের অভিযোগ করেছে।

সাম্প্রতিক দিনগুলিতে রাশিয়া ইউক্রেনীয় হামলার পূর্বাভাসে শহরটি পুনরুদ্ধারের জন্য খেরসন থেকে বেসামরিক লোকদের বের করার নির্দেশ দিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণের পর থেকে একমাত্র এই আঞ্চলিক রাজধানী শহরটি মস্কো দখল করেছে।

প্রায় ৩ লাখ জনসংখ্যার পূর্ব খেরসন গত ৪৮ ঘন্টা ধরে আশেপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ ও জল-হীন হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড ঠান্ডা এবং অন্ধকারে আছে সাধারণ মানুষ। রাশিয়ান কর্মকর্তারা ইউক্রেনীয় “নাশকতা”কে দায়ী করেছেন এবং বলেছে, তারা বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন যে রাশিয়ানরা ১.৫ কিলোমিটার বিদ্যুতের লাইন ভেঙে দিয়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী এলাকাটি পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত সম্ভবত বিদ্যুৎ ফিরে আসবে না।

কিয়েভ এলাকাটি উচ্ছেদকে জোরপূর্বক নির্বাসন, যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছে। মস্কো বলেছে, তারা নিরাপত্তার জন্য বাসিন্দাদের দূরে পাঠাচ্ছে এবং বেসামরিকদের উপর অত্যাচার অস্বীকার করছে।

খেরসন ইউক্রেনকে দ্বিখণ্ডিত করে ডিনিপার নদীর পশ্চিম তীরে রাশিয়ান-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একমাত্র সীমানা। এটি পুনরুদ্ধার করা দক্ষিণে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যা অক্টোবরের শুরু থেকে ত্বরান্বিত হয়েছে।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক সোমবার টুইট করেছেন, “যখন খেরসন বাসিন্দাদের তাদের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক নির্বাসিত করা হচ্ছে, ‘উচ্ছেদের’ কথা বলা হচ্ছে, তখন রু-মিলিটারি এবং এফএসবি অফিসাররা তাদের সবচেয়ে পছন্দের কাজটি করছেন – তা হলো তাদের বাড়িঘর ডাকাতি করা”

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রাতারাতি একটি আপডেটে বলেছে , রুশ বাহিনী, “বেসামরিক পোশাকে ছদ্মবেশে, বেসামরিক লোকদের ঘর-বাড়ী দখল করে এবং রাস্তায় যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ভিতরে অবস্থান শক্তিশালী করেছে।” তবে খেরসনের ভেতরের পরিস্থিতি স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।

সূত্র : আল-জাজিরা

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G